মাটি খেলে কি হয়? মাটি খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা

 

মাটি খেলে কি হয় ? মাটি খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা


মাটি খেলে কি কি ক্ষতি হয় এবং কি কি উপকার হয়


আমাদের আশেপাশে কেউ যদি মাটি খাওয়া শুরু করে তাহলে অবশ্যই আমরা তাকে পাগল বলবো। কেননা, মাটি কোন খাওয়ার বস্তু নয়।  কিন্তু জেনে অবাক হবেন যে, মাটি খাওয়া মানুষের শরীরের জন্য ভালো। মানুষের শারীরিক সুস্থতার মুক্তির বিষয়টি জড়িত আছে মাটির খাওয়ার সাথে। অর্থাৎ মাটি  ভক্ষণ  প্রচলন আরোগ্য  উপকারের জন্যই প্রচলিত।  জানা গেছে, রোমানরা মাটি ছাগলের রক্ত মিশিয়ে এক ধরনের ট্যাবলেট তৈরি করত।  যা দিয়ে অনেক কঠিন রোগ আরোগ্য লাভ করত।  পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে, মাটিতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এবং প্রচুর পরিমাণে লৌহ আয়োডিন আছে,যা শিশু মহিলাদের বেশি করে দরকার পরে। 


মাটি খেল কি হয় ? মাটি খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা
মাটি খেলে কি হয়? মাটি খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা


আবার কোন কোন দেশে ইটের মাটি, পোড়ামাটি খাওয়ার প্রচলন আছে। আর্জেন্টিনা, নামিবিয়া ইরানের মতো দেশগুলোতে মাটি খাবার হিসেবে গ্রহণ করার অভ্যাস দেখতে পাওয়া যায়। তানজানিয়ার এক ছোট্ট গ্রামে এক নারীকে গর্ভকালে দেয়াল থেকে মাটি তুলে খেতে দেখা যায়। 


  সবথেকে নিঃসন্দেহে বলা যায়, মাটি খাবার হিসেবে কখনো ক্ষতিকর নয়। তবে মাটিতে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত উপাদান থাকতে পারে। যদিও আমাদের জানামতে মাটি কোন খাবার, নয় তবে  মাটি বিভিন্ন জৈবিক এবং রাসায়নিক উপাদান থাকে যা মানুষের দেহে ঢুকে বড় ক্ষতি সাধন  করে। 

 

মাটিতে রয়েছে যেসব বিষাক্ত উপাদান


মাটির সম্ভাব্য বিষাক্ত উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে Pb, Cd, Hg এবং As  যা অধিক রূপে ফসল, মানুষ এবং প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর।


Pb মানে lead বা  সীসা   উচ্চমাত্রার সংস্পর্শে মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে এমনকি কিডনি বিকল হতে পারে।  খুব বেশি সীসার প্রভাবে মৃত্যুর কারণ হতে পারে।  গর্ভবতী মহিলারা যারা  সীসার সংস্পর্শে আসে তারা তাদের অনাগত সন্তানকে প্রকাশ করে।    সীসা একটি উন্নয়নশীল শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি সাধন করে থাকে।


উচ্চমাত্রার ক্যাডমিয়াম শ্বাসের সাথে প্রবেশ করে মানুষের ফুসফুস এর ক্ষতি সাধন করে এমনকি মৃত্যুও হতে পারে বাতাসে, খাবারে, পানির সাথে ক্যাডমিয়াম মানবদেহে প্রবেশ করে কিডনি রোগ ভঙ্গুর হাড়ের কারণ হতে পারে।  ক্যান্সার সৃষ্টির এজেন্ট হিসেবে ক্যাডমিয়াম কে বিবেচনা করা হয়।


পরিমাণের উপর নির্ভর করে মার্কারির প্রভাব স্নায়ুতন্ত্র কিডনি লিভার সিস্টেমের ক্ষতিসাধন করে থাকে। বলা হয়ে থাকে মার্কারি প্রভাবে মানবদেহের বড় ক্ষতি হয়ে থাকে। শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে মার্কারির বাষ্প স্নায়ুতন্ত্র, ফুসফুসে , প্রবেশ করে এগুলো ক্ষতি করতে  পারে।


পানি এবং খাবার থেকে আর্সেনিকের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব এর ফলে ক্যান্সার এবং ত্বকের  ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। এটি কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং ডায়াবেটিসের সাথেও যুক্ত হয়েছে।  জরায়ুতে এবং শৈশবকালীন বিকাশের উপর নেতিবাচক প্রভাব এবং অল্প বয়স্ক দের মধ্যে মৃত্যু বৃদ্ধির সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post